অন্যান্য প্রোগ্রামিং ভাষার মত পাইথনের ভ্যারিয়েবলের (Variable) ধারনা একই। ভ্যারিয়েবল হচ্ছে ধারক বা কন্টেইনার (Container)।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত একটি উদাহরণ দেওয়া যাক। আমরা প্রতিদিন পানি পান করি; কিভাবে করি? প্রথমে বড় একটা পাত্র থেকে একটি গ্লাসে পানি ঢালি এবং সেই গ্লাসে করে পানি খাই। এখানে পানির ধারক হচ্ছে ঐ গ্লাস এবং বড় পাত্র। প্রোগ্রামিং এর ভাষায় এই বড় পাত্র এবং গ্লাস দুটোই ভ্যারিয়েবল, কারণ এই দুটি বস্তু পানিকে ধারণ করেছে।

আবার এই পানির গ্লাস দিয়ে আমরা শুধু পানিই পান করিনা, দুধ বা শরবতও পান করতে পারি। ঠিক একইভাবে একটি ভ্যারিয়েবল দিয়ে একাধিক কাজ করা যায়, অর্থাৎ উপাদান (পানি, দুধ, শরবত) পরিবর্তিত হয়।

তাহলে আমরা বুঝলাম, ভ্যারিয়েবল এমন একটা জিনিস যা অন্য কোন কিছুকে ধারন করে।

বিঃদ্রঃ বাস্তব জীবনে আমরা একই গ্লাসে পানি এবং দুধ পান করতে পারি কিন্তু প্রোগ্রামিং এর ক্ষেত্রে একই ভ্যারিয়েবলে একাধিক বস্তু রাখা যায়না।

এতক্ষন আমরা বাস্তব জীবনের উদাহরণ দেখছিলাম। চলুন প্রোগ্রামিং এর ক্ষেত্রে এটি কিভাবে কাজ করে দেখে আসি। নিচের কোডটি লক্ষ্য করি –

print(10)

এখানে ফলাফল আসবে –

10

10 একটি ধ্রুবক (Constant) সংখ্যা যেটা আমরা সরাসরি print() এর মধ্যে দিয়েছি এবং সেটাই ফলাফল হিসেবে দেখাচ্ছে। এখন এটাকে আমরা একটা ভ্যারিয়েবলে রেখেও print() এর মাধ্যমে ফলাফল আনতে পারি –

a=10
print(a)

এখানে a হচ্ছে ভ্যারিয়েবল যেখানে আমরা 10 সংখ্যাটি রেখেছি এবং এই ভ্যারিয়েবলকে print() ফাংশনের মাধ্য দিয়ে ফলাফল প্রদর্শন করেছি।

এখানে = চিহ্নটিকে প্রোগ্রামিং এর ভাষায় এসাইনমেন্ট (Assignment) অপারেটর বলা হয়। এসাইনমেন্ট অপারেটর দিয়ে কোন ভ্যারিয়েবলে ভ্যালু এসাইন করা হয়।

আমরা আরো কিছু ভ্যারিয়েবল ডিক্লেয়ার (Declare) করি-

a=10
b="Hello SHAHINUR"
print(a)
print(b)

ফলাফল আসবে –

10
Hello SHAHINUR

অর্থাৎ ভ্যারিয়েবল যেকোন ধরণের হতে পারে, সেটা সংখ্যা (number) হতে পারে, অক্ষর হতে পারে (character), স্ট্রিং (string) হতে পারে ইত্যাদি।

অন্যান্য প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে ভ্যারিয়েবলের ধরণ কেমন হবে সেটা নির্দিষ্ট করে দিতে হয়; কিন্তু পাইথনে সেটার প্রয়োজন নেই।

পাইথনে একই স্টেটমেন্টে কমা দিয়ে একই সাথে একাধিক ভ্যারিয়েবল এসাইন করা যায়। যেমন –

a,b=10,"Hello SHAHINUR"
print(a)
print(b)

ফলাফল পূর্বের মতই হবে।

ভ্যারিয়েবলের নামকরণ

আপাতদৃষ্টিতে ভ্যারিয়েবলের নাম যেকোন কিছুই হতে পারে তবে কিছু সাধারণ নিয়ম আছে। কিছু নির্দিষ্ট শব্দ বা কিওয়ার্ড (keyword) আছে যেগুলোকে ভ্যারিয়েবল বলে ডিক্লেয়ার করা যায়না। যেমন – break, for, if ইতাদি। এগুলো পাইথনের রিজার্ভ (Reserve) কি-ওয়ার্ড। তাছাড়া –

  • ভ্যারিয়েবলের নাম কখনো সংখ্যা (Number) দিয়ে শুরু করা যাবে না, অবশ্যই অক্ষর বা আন্ডারস্কোর দিয়ে শুরু করতে হবে।
  • ভ্যারিয়েবল শুধুমাত্র সংখ্যা, অক্ষর এবং আন্ডারস্কোর এর সমন্বয়ে গঠিত হতে পারে।
  • ভ্যারিয়েবলের নাম কেস সেন্সেটিভ (case-sensitive) অর্থাৎ ছোট হাতের এবং বড় হাতের অক্ষর ভিন্ন ভিন্ন ভ্যারিয়েবল নির্দেশ করে। যেমন a এবং A দুইটা ভিন্ন ভ্যারিয়েবল।

0 0 votes
Article Rating
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x