সমুদ্র সম্পর্কিত কোন সংবাদ পড়তে বা শুনতে গেলে প্রায়ই একটা শব্দ শুনি – “নটিক্যাল মাইল”। আসলে এটা কি?
আমরা যদি পৃথিবীর বিষুবরেখা বরাবর আমাদের পৃথিবীটাকে দুই ভাগে ভাগ করি এবং সেটাকে ৩৬০ দিয়ে ভাগ করি তাহলে আমরা প্রতি ডিগ্রির প্রেক্ষিতে একটা কৌণিক দূরত্ব পাব। আবার যদি এই প্রতি ডিগ্রি কৌণিক দূরত্বকে ৬০ দিয়ে ভাগ করি তাহলে আমরা এক মিনিট কৌণিক দূরত্ব পাব। এটাকেই এক নটিক্যাল মাইল বলে।
কেন নটিক্যাল মাইল?
নটিক্যাল মাইল কি এটা জানার পর আমার মনে প্রথম যে প্রশ্নটা এসেছিল সেটা হচ্ছে – আমরা কেন নটিক্যাল মাইল ব্যবহার করব? আমরা তো সরাসরি মাইল বা কিলোমিটার ব্যবহার করতে পারতাম, তাইনা? উত্তরটা অতি সহজ। আপনার যদি পৃথিবী এবং জ্যামিতি সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকে তাহলে খুব সহজেই বুঝহতে পারবেন। আমাদের এই পৃথিবীটা তো গোলাকার তাইনা? আমরা সচরাচর যে দূরত্ব অতিক্রম করি সেটা কিন্তু একটা গোলকের পরিধির উপর দিয়েই দূরত্ব অতিক্রম করি, এটা সোজা কোন পথ না। ছোট দূরত্বের কারনে এটার তেমন কোন প্রভাব আমাদের চোখে পড়ে না। কিন্তু আমরা যদি জাহাজ বা উড়োজাহাজের কথা চিন্তা করি তাহলে দেখব তাদেরকে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিতে হয়, এক্ষেত্রে কৌণিক হিসাবে দূরত্ব পরিমাপটা সহজ এবং সঠিক হয়। এজন্যই নটিক্যাল মাইলের উদ্ভব।
কোথায় ব্যবহার করা হয়?
সাধারণত জাহাজ এবং উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে এই এককটি ব্যবহার করা হয়।
এককের প্রকাশঃ
নটিক্যাল মাইলকে সাধারণত NM, nm, nmi দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
“নট”
নট হচ্ছে নটিক্যাল মাইল হিসাবে গতির একক। কেউ যদি ১ ঘন্টায় এক নটিক্যাল মাইল অতিক্রম করে তাহলে তার গতি ১ নট।
বিভিন্ন এককের সাথে সম্পর্কঃ
১ নটিক্যাল মাইল = ১.১৫০৮ মাইল
১ নটিক্যাল মাইল = ১.৮৫২ কিলো মিটার
১ নটিক্যাল মাইল = ৬০৭৬ ফিট