গতকয়েকদিন ধরেই ফেসবুকের নিউজফিডে একটা খবর ভেসে আসছে, অনেকেই শেয়ার করেছেন, যার শিরোনাম – “ফজরের নামায পড়েই ঝুলে পড়ব”
হ্যা, আমি সাতক্ষীরার ছেলে সাদিদ ফারজিন অর্ণব এর কথা বলছি যে ৯ মে ২০১৬ আত্নহত্যা করেছে। খবরটা নিয়ে অনেক কথা শোনা যাচ্ছে। ছেলেটা যে, মেয়েটাকে অনেক ভালবাসতো এটা বোঝাই যাচ্ছে। কিন্তু আত্নহত্যা যে সবকিছুর সমাধান না এটা বোঝানোর মত কেউ হয়তো তার ছিলনা, থাকলেও হয়তো তার কিশোর মনে সেটা যথেষ্ট দাগ কাটতে পারেনি।
আত্নহত্যা কোন সমাধানই না বরং এটা তার পরিবার আত্নীয়সজনের জন্য লজ্জা।
আত্নহত্যা মানে নতস্বীকার করা, আত্নহত্যা মানে কাপুরূষের মত পালিয়ে যাওয়া। আত্নহত্যা তো পরাজয় বরণের সবচেয়ে সহজ একটা পথ। তুমি কেমন প্রেমিক যে, ভালবাসার পরীক্ষা দেবার জন্য সবচেয়ে সহজ পথটাই বেছে নিলে?
মরে গেলে তো বেঁচেই গেলে, বেঁচে থেকে একা একা এই বন্ধুর পথটা চলেই দেখোনা কতটা যন্ত্রণা সহ্য করতে পারো। দেখিয়ে দাও তাকে ছাড়া তুমিও চলতে পারো, হয়তো অনেক কষ্ট হবে, হয়তোবা তার সাথে কাটানো প্রতিটা মূহুর্ত স্মৃতি হয়ে তোমার চোখের কোণে বাসা বাঁধবে, হয়তোবা কোন বৃষ্টিস্নাত পড়ন্ত বিকালে ভিজতে ভিজতে তার কথা ভেবে দুই নোনাজল মিশে একাকার হবে, হয়তোবা কোন পূর্ণিমা রাতে তার কথা ভাবতে ভাবতে খোলা মাঠে ঘাসের চাঁদরেই ঘুমিয়ে পড়বে, দেখাও না তুমি কতটা পারো…
তুমি না তাকে ভালবাসো? তাহলে সে সুখী থাক এটাই তো তোমার চাওয়া হওয়া উচিৎ তাইনা? এখন তো আমাকে বলবা, আমি কষ্টে আছি ও কেন সুখে থাকবে বা ও যখন আমার হলনা তাহলে কাউকেই হতে দেবনা ইত্যাদি ইত্যাদি। আরে ভাই দেখিয়েই দাওনা তুমি কতটা ভালোবাসো, দেখিয়ে দাও কতটা ভালবাসলে প্রিয়তমাকে নিঃস্বার্থ মুক্তি দেওয়া যায়, কতটা ভালবাসলে নিজেকে গুঁটিয়ে নেওয়া যায়, কতটা ভালবাসলে তোমার কাছে বলা এতগুলো মিথ্যাকথাকে দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করা যায়।
দেখই না I am so lonely, More Than You’ll Ever Know, dead অথবা I will be right here waiting for you কতদিন শুনে যেতে পারো…
তুমি কি শুধু তাকেই ভালোবাসো? ২~৫ বছর পরও দেখিয়ে দাও তুমি দ্বিতীয় কারো প্রেমে পড়োনি। আর যদি না পারো তাহলে সেটা হবে তোমার ব্যর্থতা, তুমি তাকে ভালবাসোনি, যেটা ছিল সেটা তোমার মোহ, ক্ষণিকের ভাললাগা। প্রমাণ করে দেখাও তুমি তাকে ভালোবাসো, মরে যেয়ে পরজয় বরণ করে নয়…